, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ , ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


ডিবির 'ভাতের হোটেল' নিয়ে যা বললেন হারুন

  • আপলোড সময় : ২১-১১-২০২৩ ০৬:১৯:৪৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২১-১১-২০২৩ ০৬:১৯:৪৬ অপরাহ্ন
ডিবির 'ভাতের হোটেল' নিয়ে যা বললেন হারুন ফাইল ছবি
বিভিন্ন সময়ে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের সমস্যার কথা জানাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)  কাছে আসেন। তাদের মধ্যে অনেককে আবার ডিবি কার্যালয়ে ভাত খাইয়ে আপ্যায়ন করা হয়। ইতোমধ্যেই ভাত খাওয়ানোর কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ছবি ভাইরালের পর ডিবি কার্যালয়কে ‘ডিবির ভাতের হোটেল’ বলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে মন্তব্য করেছেন। তবে এসব মন্তব্যকে ডিবি ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে। ডিবি বলছে, ডিবির ভাতের হোটেলের বিষয়টি মানুষ রসবোধ থেকে বলছে।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি মহানগর প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ রসবোধের বিষয়টি জানান।

ডিবির ভাতের হোটেল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা রসবোধের প্রশ্ন। বাঙালি একটা রসবোধসম্পন্ন জাতি। সাহিত্যে রসবোধের প্রয়োগ আমাদের মনের খোরাক জোগায়। আমি মনে করি, এটা রসবোধপ্রবণ একটি বিষয় যে ডিবি ভাত খাওয়ায়। আমরা তো আসলে কাউকে ডেকে এনে খাওয়াই না। কেউ যদি কাজের জন্য আমাদের কাছে আসে, তার কাজটা করে দেওয়ার চেষ্টা করি আর পাশাপাশি লাঞ্চ টাইম হলে লাঞ্চের অফার করি। সে যদি অফার গ্রহণ করেন তাহলে খেয়ে যান। আর আমরা তো ব্রিটিশ পুলিশ না।

আমরা এখন স্বাধীন দেশের পুলিশ। একটা সময় থানাতে যেতে মানুষ ভয় পেতো। আর এখন আমি একজন ডিআইজি, আমার এখানেই শত শত লোক কোনও না কোনও কাজে আসছে। সাইবার বুলিংসহ বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে মানুষ আমাদের কাছে আসছে।

ডিবির গোয়েন্দাপ্রধান আরও বলেন, সাংবাদিকরাও বলে ডিবি একটি আস্থার জায়গা। ডিবিতে সকল মানুষের অভিযোগের কথা শোনা হয়। আমি মনে করি ডিবি যেহেতু একটি আস্থার জায়গা, ডিবিতে সাধারণ মানুষ আসে। আমরা তাদের কাজ করে দেই। আমি মনে করি, এটা আমাদের দায়িত্ব।  আর ডিবি যে মানবিক পুলিশিং করে এটার উদাহরণ হচ্ছে যে আমরা মানুষকে আপ্যায়ন করি। ইসলাম ধর্মে কিন্তু আছে কোনও মানুষ যদি কারও বাড়িতে আসে তাকে আপ্যায়ন করতে হয়।

আমরা স্বাধীন দেশের পুলিশ, আমরা যদি কাউকে আপ্যায়ন করি এইটা তো খারাপ কিছু না। আর যারা রসবোধ থেকে ভাতের হোটেল বলে তারাও কিন্তু ভালো অর্থে বলে, খারাপ অর্থে বলে না। এতে আমরা উৎসাহিত হই। মানুষ আসছে কাজ করে যাচ্ছে এবং খেয়ে যেতে পেরে আমাদের প্রশংসাও করছে। লাঞ্চের টাইমে খেয়ে যেতে পারলে মানুষ খুশি হয়। অপরাধীদের গ্রেফতার করি পাশাপাশি মানবিক পুলিশ হিসেবে মানুষকে আপ্যায়ন করি।
 
সর্বশেষ সংবাদ
নির্বাচন যত দেরিতে হবে, ষড়যন্ত্র তত বৃদ্ধি পাবে: তারেক রহমান

নির্বাচন যত দেরিতে হবে, ষড়যন্ত্র তত বৃদ্ধি পাবে: তারেক রহমান